দুইজনের কমিটি দিয়ে দুই বছর পার করেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ। দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ক্ষোভ-হতাশা বেড়েছে তৃণমূলে। দেখা দিয়েছে নেতৃত্ব সংকট। তাই সংগঠনকে গতিশীল করতে দ্রুতসময়ে এই ইউনিটে পুনরায় সম্মেলন করার দাবি জানিয়েছে অনেকে।
তবে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলছেন, কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন সমস্যার কারণে তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ালে আওয়ামী লীগ নেতারা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। পরে ৫ মে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ভঙ্গ করে কেন্দ্র থেকে দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
২০১৮ সালের ৫ মে এক বছরের জন্য উত্তর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন সাক্ষরিত ঐ কমিটিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে মিরসরাইয়ের তানভীর হোসেন তপু ও সাধারণ সম্পাদক পদে ফটিকছড়ির রেজাউল করিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কমিটি গঠনের দুই বছর পার হলেও এখনো কোনো উপজেলা, পৌরসভা বা কোনো ইউনিট কমিটি করতে পারেননি তারা। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনও ঝুলে রয়েছে। ফলে উত্তর জেলার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে চরম ক্ষোভ-হতাশা রয়েছে তৃণমূল ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে। তারা বলছে, এক বছরের কমিটি দুই বছর হলো। যারা দুই বছরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি, তারা কিভাবে উত্তর জেলার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চালাবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা জয়নিউজকে বলেন, সাংবাদিক হিসেবে আপনি বলুন, গত দুই বছরে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়েছে কি-না। উত্তর জেলা ছাত্রলীগের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এখান থেকে অনেকে জাতীয়পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান কমিটির কোনো কার্যক্রম নেই। শুধু নেতাদের পদলেহনে ব্যস্ত তারা। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের ধ্বংসযজ্ঞ চলছে।
এ বিষয়ে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জয়নিউজকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য তালিকা করে আমরা শোভন-রাব্বানি পরিষদকে জমা দিয়েছিলাম। তারা অনুমোদন দিবে দিবে বলে আর দেয়নি। এরপর তাদেরকে অপসারণ করা হলো। পরে যারা ভারপ্রাপ্ত ছিলেন তাদেরকে বিষয়টি জানানোর পরা তারা বললেন, যখন ভারমুক্ত হবেন, তখন কমিটি অনুমোদন দিবে। এখন তারা ভারমুক্ত হলেন, আশা করি খুব শিগগির কমিটি হয়ে যাবে।
কার্যক্রমে স্থবিরতা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুতেই স্থবিরতা নেই।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয় জয়নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খবর নিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিব।