কক্সবাজারের টেকনাফে দ্বিতীয় দফায় আরো ২৭ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করছে। এ সময় তারা ২১ হাজার পিস ইয়াবা ও ১০টি আগ্নেআস্ত্র জমা দিয়েছে পুলিশকে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
নয়টি শর্তে এ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা গেছে।
এরআগে ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ১০২ জন ইয়াবা গডফাদার ও ব্যবসায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এসময় তারা টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে আত্মসমর্পণ করেন।
একই দিন আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা ও ৩০টি অস্ত্রসহ দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। ২০ জানুয়ারি সেই মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেন পুলিশ।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় নেই। দেশের যুব সমাজকে রক্ষায় ইয়াবা নির্মূলে মাদকবিরোধী অভিযান আরো জোরদার করা হবে। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যতোই ক্ষমতাবান হোক তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের থুতু নিক্ষেপ করার জন্য সমাজের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
তিনি বলেন পুলিশের একার পক্ষে ইয়াবা নির্মূল করা সম্ভব নয়। ইয়াবা প্রতিরোধে সমাজের সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দেখলে তাদের থুতু নিক্ষেপ করুন, যাতে তারা সমাজে স্থান না পায়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাকির হোসেন খান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কক্সবাজার জেলা সভাপতি সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ বাহাদুর, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
অপরদিকে ২০১৯ সালে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনের মধ্যে অসুস্থতায় একজন মৃত্যুবরণ করেছেন, বাকি ১০১ জন এখনো কারাগারে রয়েছেন।