মাদক নির্মূলে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মাদক কোমলমতি শিশুসহ সমগ্র জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর প্রধান কার্যালয়ের এলিট হলে মাদক ধ্বংস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, মাদকের আগ্রাসন থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে সরকারের আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব ৪২ হাজার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার, প্রায় দুই কোটি ইয়াবা, তিন লক্ষাধিক ফেন্সিডিল, ১৭ হাজার বোতল বিদেশি মদ, ২৫ লাখ লিটার দেশিয় তৈরি চোরাই মদ জব্দ করেছে। যা প্রশংসনীয়।
এসময় মন্ত্রী র্যাবের প্রশংসা করে বলেন, সুন্দরবন একসময় জলদস্যু ও বনদস্যুদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল। সেখানে দেশি-বিদেশি কোনো পর্যটক যেতে পারতো না। এবংকি স্থানীয় জেলেরা পর্যন্ত মাছ ধরতে যেতে পারতো না। র্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে জলদস্যু ও বনদস্যু নির্মূল করেছে। র্যাবের তৎপরতায় ও প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় অনেক জলদস্যু অস্ত্রসহ ইতোমধ্যে আত্মসর্মপণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের পূর্নবাসনেরও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে ইয়াবা প্রবেশের প্রধান রুট কক্সবাজার। র্যাব সেখানেও অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। কক্সবাজারে ৫টি বিশেষ ক্যাম্পের সমন্বয়ে র্যাবের একটি র্পূণাঙ্গ ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৫ চালু করা হয়েছে। নৌ-টহল জোরদার করা হয়েছে। র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৩৮ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এছাড়াও অসীম বীরত্বপূর্ণ সাহসিকতার জন্যে ৬ জন র্যাব সদস্যকে বিপিএম পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আগত স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, তোমরা আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে। মাদক যাতে তোমাদের ছুঁতে না পারে এখন থেকে সেই শপথ নাও। দেশ ও জাতির কর্ণধার আজকের শিক্ষার্থীরা। মাদকের আগ্রাসন তোমাদের গ্রাস করলে পথ হারাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তাই মাদকের করাল গ্রাস থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখো।
এতে র্যাব সদরদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচারক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার আগত স্কুল শিক্ষার্থীদের মাদকবিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের কোকেন ধ্বংস করেন।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, এম আবদুল লতিফ এমপি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ প্রমুখ।