চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের আগমুহূর্তে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিক নির্বাচনে আগ্রহী প্রায় সব নেতা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের জামালখানের একটি কনভেনশন হলে এ বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
সভায় শুরুর দিকে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তখন উপস্থিত ছিলেন না নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
বক্তব্যে নওফেল বলেন, সামনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক ধরনের আলোচনা-সমালোচনা আসবে। একজন আরেকজনের সম্পর্কে কথা বললেও আরো একটু বানিয়ে দেওয়া কিংবা না বললেও একটু লিখে দেওয়া, এগুলো কিন্তু হচ্ছে। আলোচনা-সমালোচনা এগুলো গণমাধ্যমের স্বাভাবিক কাজ মেনেই আমাদের কাজ করতে হবে। কিন্তু এতে যেন আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি না হয়।
পরে সভায় বক্তব্য রাখেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড থেকে যতটুকু সম্ভব নিজেদের বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে। পরষ্পর পরষ্পরকে হেয় করা, কোণঠাসা করার চেষ্টা, ফেসবুকে পরষ্পরের বিরুদ্ধে কোনো একটা বিষয় ভাইরাল করে দেওয়া, এগুলো বন্ধ করতে হবে। এসব বন্ধ করা না গেলে দিন শেষে ক্ষতি হবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, সরকারের এবং দলের। এসব প্রচারণা যদি সত্যি হয়, তাহলে আপনারা সভা ডেকে দলীয় ফোরামে আলোচনা করবেন। সেখানে নিষ্পত্তি করুন। যেভাবে হোক, দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে হবে। না হলে পদে আসীনরা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সুনীল সরকার, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সম্পাদকদণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ ও এমএ রশিদ, হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী এবং জহরলাল হাজারী।
এদিকে বক্তব্য শেষে চলে যাওয়ার সময় উপমন্ত্রী নওফেলের সঙ্গে দেখা হয় মেয়র নাছিরের। এ সময় দু’জনে হাসিমুখে কথাবার্তা বলেন এবং কুশল বিনিময় করেন।
নওফেল-নাছিরের কুশল বিনিময়ের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকেই লিখেছেন, তাদের (নাছির-নওফেল) মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই। একজন অন্যজনের প্রতিদ্বন্দ্বীও না। কিন্তু একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিলকে তাল করে আওয়ামী লীগের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে।
জয়নিউজ