বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে চুলপরিমাণ বিচ্যুত না হওয়া মেয়র নাছিরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে কারা?

আ জ ম নাছির উদ্দীন। পুরো নাম আবু জাহেদ মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এক বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের নাম। স্কুল জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেন নাছির। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর অনেকে ছিলো পলাতক।

- Advertisement -

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে সেই সময় চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র থাকাকালীন আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে তরুণরা ঝটিকা মিছির বের করে। সেই মিছিলে গুলি চালায় সামরিক বাহিনী। যদিও অল্পের জন্য সেদিন ছাত্ররা রক্ষা পেয়েছিল। ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও নগর ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮০ ও ১৯৮২ সালে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হন।

- Advertisement -google news follower

১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদরা সমাবেশ করার চেষ্টা করে। সেদিন তরুণ আ জ ম নাছির তাদের সেই সমাবেশ পণ্ড করে দেয়। নাছিরের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের তরুণরা তাদেরকে রুখে দেয়। শুধু সেই সমাবেশ নয় আ জ ম নাছিরের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে ফ্রিডম পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। জামায়াত-শিবির বিরোধী সকল আন্দোলনে চট্টগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। অনেকবার মৃত্যুর মুখে পড়েও আল্লাহর দোয়ায় ফিরে এসেছেন। এসব তথ্য সকলের জানা।

কিন্তু রাজনীতির জন্য এবং আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ঠেকাতে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে একটি চক্র। ছবি এডিট করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেয়র নাছিরের ছবি সংযুক্ত করা বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

- Advertisement -islamibank

এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যারা এসব কাজ করছে তারা কি দলের জন্য ভালো করছেন নাকি দলকে ধ্বংস করছেন সেই প্রশ্ন করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা।

কারণ আ জ ম নাছিরকে ঠেকানোর জন্য নোংরা খেলায় কেন মেতে উঠতে হবে, কেন একজনকে ঠেকাতে সবাই মরিয়া? আ জ ম নাছির কি তাদেরকে অবৈধ কিছু করতে দেয়নি, নাকি আওয়ামী লীগকে কোন্দল ছাড়া চট্টগ্রামে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে সেটা কাল হয়েছে।

পদপদবীর লোভে আ জ ম নাছির রাজনীতি করেনি সেটা অনেক আগেই প্রমাণিত। দীর্ঘদিন পদ ছাড়াও চট্টগ্রামে রাজনীতি করেছেন এবং তাও বীরদর্পে। এরপর দীর্ঘ ২০ বছর পর যখন দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তখনও তিনি দলের প্রয়োজনে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থাকলে দলের প্রয়োজনে কোনোদিন কারো সঙ্গে কোন্দলে লিপ্ত হননি।

মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ার পরও তার অনুসারীদেরকে নিয়েই দলকে সাজিয়েছেন কোনে ঝামেলা ছাড়া। তাই দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি এখন প্রসংশার পাত্র।

এছাড়া চট্টগ্রামের উন্নয়নে নাছিরের উদ্যোগ সর্বমহলে প্রসংশিত হয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত চসিক গঠনে কাজ করেছেন। নিজের সম্মানি অসহায়দের মাঝে বিতরণ করেছেন, যা দেশের অন্যকোন মেয়র করে না।

মূলত ভালো কাজই আ জ ম নাছিরের কাল হয়েছে। এ সমাজে কিছু মানুষ আছে তারা অন্যের ভালো কাজকে পছন্দ করেন না। যে বা যারা বিভিন্ন ভূঁইফোড় অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে তারা হীনমন্যতায় ভুগছে। তাই নোংরামিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী আ জ ম নাছির উদ্দীন। নাছিরের এ পর্যন্ত আসার পেছনে সবটুকু অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাই ষড়যন্ত্র, সত্য, মিথ্যা সবকিছুর খবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে।

জয়নিউজ/বিআর
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM