প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সোয়াইন ফ্লু’র মতো সময়ের ব্যবধানে শক্তি হারাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০০৯ সালে মেক্সিকোতে প্রথম শনাক্ত করা এ ভাইরাসের আক্রমণে বিশ্বের ১৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
চ্যানেল নিউজ এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সোয়াইন ফ্লু শূকরের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে মানব মৃত্যুর কারণ বলে চিহ্নিত এই সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা। মেক্সিকোতে এটি প্রথম দেখা দেয়। এই ভাইরাস মূলত শূকরকে আক্রমণ করে। ওই বছর শূকরের মাধ্যমে এটি মানবশরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সোয়াইন ফ্লুর কারণ এইচ১এন১ ভাইরাস।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ নোভেনা হাসপাতালের সংক্রমণ রোগবিশেষজ্ঞ লিঅং হোয়ে ন্যাম। তিনিও মনে করেন প্রাকৃতিকভাবেই শক্তি হারাবে করোনা ভাইরাস। মেক্সিকোর উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ‘আপনি যদি এখন আবার মেক্সিকো যান, তাহলে দেখবেন সেই ভাইরাস এখনও রয়েছে কিন্তু আগের মতো প্রাণঘাতী নয়। এর কারণ হলো বছরের পর বছরের ব্যবধানে এটি তার শক্তি গুঁটিয়ে নিয়েছে। কোভিড১৯-এর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেবে।’
সিঙ্গাপুরের জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রী লরেন্স ওং বলেছেন, এখন এটা প্রতীয়মান হয়েছে যে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পদ্ধতি সার্স থেকে ভিন্ন প্রকৃতির তবে এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ পদ্ধতির কাছাকাছি।
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিসেসের (এনসিআইডি) বরাত দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো খুব কম প্রকাশ পেলেও এটি এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ছোঁয়াচে। এটি সুয়াইন ফ্লুর মতো দ্রুত সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ক্লারারেন্স ট্যাম। তার মতে, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম। তবে এটি যদি আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে বড় একটা জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তবে এটি (করোনাভাইরাস) ক্রমেই শক্তি হারাবে।