রাউজানের নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের নতুনহাট ও চিকদাইরে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবির সোহাগ। এসময় তিনি বালু উত্তোলনের মেশিনসহ পাইপও নষ্ট করেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ অভিযান চালান তিনি।
একইসময় নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের নতুনহাট এলাকায় সর্তাখালে বাঁধ দিয়ে মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত মো. আলী (৪৫) নামে এক শ্রমিককেও আটক করা হয়। তিনি ভোলার চরফ্যাশন থানার উত্তরমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা মৃত নজির আহমেদের ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ জয়নিউজকে বলেন, খালে বাঁধ দিয়ে পানির গতিপথ বন্ধ করা, বিনাঅনুমতিতে মাটি কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। খালে বাঁধ দেওয়ায় বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢল নেমে নোয়াজিষপুর ও চিকদাইর ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়েছে। তাই বাঁধ অপসারণ করেছি। খালের বাঁধ সৃষ্টিকারী, মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনকারীদের কোনো ছাড় নেই। অভিযানে শ্রমিক ছাড়া কাউকে পায়নি। খালে বাঁধ ও মাটি কাটার মূল হোতা কে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা বের করার চেষ্টা চলছে। প্রকৃত অভিযুক্তকে ধরার জন্যই শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত) আটক শ্রমিককে ছাড়ানোর জন্য কেউ আসেনি।
উল্লেখ্য, নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন এম সরোয়ার্দী সিকদার ও চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরীর মৌখিক অনুমতিক্রমে গহিরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সায়েদুল রহমান ওরফে বালু মনছুর সর্তাখালে বাঁধ নির্মাণ করে রাস্তা তৈরি করে মাটি বিক্রি করে আসছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত সায়েদুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।