বন্দর-পতেঙ্গায় মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন।
সোমবার (২ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় তার নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান।
এ সময় জনাব সুজন বলেন, বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় নেই কোনো প্রকার হাসপাতাল কিংবা মাতৃসদন। ফলে কোনো অসুখ বিসুখ কিংবা সন্তান জন্মদানের জন্য ওই অঞ্চলের নারীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা নগরীর অন্য কোনো বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রসূতি মায়েদের রাস্তায় সন্তানপ্রসবের মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখেও পড়তে হয়। দিনের পর দিন এ অবস্থা চলতে থাকলেও বস্তুত ওই এলাকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কার্যত কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
অথচ সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি বিশাল বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে যা মোটেও কাম্য নয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বন্দর এলাকা হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নির্মিত হাসপাতাল এলাকাটিতে সবসময় ট্রাফিক জ্যাম লেগেই থাকে। তাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানান ওই বাণিজ্যিক স্থাপনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার জন্য। যাতে ওই এলাকায় বসবাসরত বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত স্বাস্থ্য সেবার সুফল পেতে পারে।
তিনি মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় একটি মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মো. নিজাম উদ্দিন, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, শিশির কান্তি বল, শেখ মামুনুর রশীদ, এএসএম জাহিদ হোসেন, অনির্বান দাশ বাবু, সমীর মহাজন লিটন, সোলেমান সুমন, সাইফুল্লাহ আনছারী, জাহাঙ্গীর আলম, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, রকিবুল আলম সাজ্জী, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মো. ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না প্রমুখ।