পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর দেশে বেড়েছে পেয়াঁজের যোগান। টানা ৫ মাসের মতো অস্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজারে এখন পড়তির দিকে। প্রতি সপ্তাহের ব্যবধানে এ দাম কমছে আনুপাতিক হারে। সপ্তাহের ব্যবধানে নগরের বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। তবে শীতকালীন সবজি সরবরাহ কমায় বাজারে ফের বাড়ছে সবজির দাম। আর এতেই মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তের ক্রেতারা সবজি কিনতে হচ্ছেন গলদঘর্ম।
শুক্রবার (৬ মার্চ)নগরের রিয়াউদ্দিন বাজার, চকবাজার, কাজির দেউড়ি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আমদানি করা ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
পেঁয়াজের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রসুনের দাম। আমদানি করা চীনা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা ২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, গাজর ২০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, বরবটির ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা ।
মাছের বাজার গত সপ্তাহের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৫০, চিংড়ি ৮০০ টাকা, রুপচাঁদা ১২শ থেকে ১২শ ৫০ টাকা, ইলিশ ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারও আছে যথারীতি আগের মতোই। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, কক ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায় কেজি। গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়।
জয়নিউজ/হিমেল/পিডি