রামগড়ের লাচারিপাড়ার বড়খেদা নামক এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক মনোয়ার হোসেনের (২২) বিরুদ্ধে ভিকটিমের মা বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
ধর্ষক মনোয়ার পৌরসভা বল্টুরামটিলা গ্রামের আলমাস মিয়ার ছেলে।
ভিকটিমের মা জয়নিউজকে বলেন, ঘটনার দিন বুধবার ( ৪ মার্চ) মেয়েকে বাড়িতে রেখে কেনাকাটা করতে রামগড় বাজারে আসি। ফিরে এসে মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। অনেক খোঁজাখুজির পরও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি না থাকায় বাসায় একা পেয়ে বখাটে মনোয়ার হোসেন জোরপূর্বক মেয়েকে তুলে নিয়ে দিনভর ধর্ষণ শেষে রাত ২টার সময় তাকে ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার থৈইমং জয়নিউজকে বলেন, বুধবার বিকেল থেকে ওই মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ায় আত্মীয়-স্বজনরা শঙ্কায় পড়ে যান। গভীর রাতে মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় ফিরে আসার পর ঘটনা জেনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পরিবারকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এ ঘটনা জানাজানির পর বখাটের পিতাসহ স্থানীয় কিছু লোকজন ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে গোপনে দেড় লাখ টাকায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
সূত্র জানায় , ধর্ষক মনোয়ার হোসেন মাস তিনেক আগে মানিকছড়ি উপজেলা থেকে এক মারমা তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে রামগড়ে নিয়ে আসে। পরে গুঞ্জন ওঠলে গোপনে মেয়ের পরিবারের কাছে ফেরত দেয় বখাটের পরিবারের লোকজন।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সামসুজ্জামান জয়নিউজকে বলেন, ভিকটিমের মা বাদি হয়ে শুক্রবার সকালে রামগড় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। বখাটে তরুণ মনোয়ার হোসেনকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।