দেখতে অনেকটা সবুজ শুকনো পাতার মত। তাই সবুজ চা বা গ্রীন নামে মাদকের দুটি চালান চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে ইথিওপিয়া থেকে। এই মাদক নিউ সাইকোট্রফিক সাবস্টেন্সেস বা এনপিএস নামে পরিচিত। অনেকে একে “আরবের চা” বলে থাকে।
এর আগে রাজধানী থেকে খাটের কয়েকটি চালান জব্দ করেছে কাস্টমস। এবার বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে খাট জব্দ করা হলো।
বৈদেশিক ডাক বিভাগের মাধ্যমে ৩০ আগস্ট চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায় খাটের দুটি চালান। এর আগে এগুলো এসেছিল ঢাকা পোস্ট অফিসে।থেকে চট্টগ্রাম ও ফেনীর ঠিকানায় আসা দুটি পার্সেল চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এসময় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে পার্সেল দুটি ৬ সেপ্টেম্বর আটক করে পরীক্ষার জন্য পাঠান। পরীক্ষা শেষে এগুলো মাদক দ্রব্য বলে নিশ্চিত হয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, একই সময়ে দুটি আলাদা পার্সেলে মোট ১৩টি কার্টনে ২০৮ কেজি খাট বাংলাদেশে আসে। এগুলোর একটির প্রেরক ইথিওপিয়ার জিয়াদ মোহাম্মদ। প্রাপক ঠিকানায় লিখা হয়েছে মো. ইফতেখার হোসেন, বাড়ি নম্বর ২৩, রোড ১, লেইন ৪, নিউ এ ব্লক হালিশহর। মোট ১০ টি কার্টনে তার নামে পাঠানো হয়েছে ১৬০ কেজি খাট।
আরেকটি পার্সেল এসেছে ইথিওপিয়ার জেমিরা ট্রেডিং (পিএলসি) থেকে। এটির প্রাপক আরিফ এন্টারপ্রাইজ। ঠিকানায় লিখা হয়েছে, প্রযত্নে আরিফ ভূঁইয়া, শান্তিধারা আবাসিক এলাকা, শান্তি কোম্পানি, ফেনী সদর, ফেনী। এই ঠিকানায় তিনটি কার্টনে ৪৮ কেজি খাট পাঠানো হয়েছে।
কাস্টমস কমিশনার আরো বলেন, খাট হলো ক্যাথেলিন গ্রুপের একটি উদ্ভিদজ পদার্থ। এই মাদক ইয়াবার চেয়েও ভয়ঙ্কর।
মাদক জব্দের এতদিন পর কেন জানানো হল, সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে নুরুজ্জামান বলেন, এতদিন আমরা তদন্তের স্বার্থেই মাদক জব্দের ঘটনা প্রকাশ করিনি। জানা গেছে, যেসব ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে সেগুলো ভুয়া। কারা এই বিপুল পরিমাণ মাদক ‘খাট’ আমদানির সঙ্গে যুক্ত তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
জয়নিউজ/শহিদ