লক্ষ্মীপুরে চরলরেন্সে একদশক ধরে বেদখল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) শতকোটি টাকার জমি। অবৈধ দখলদাররা সেই জমিতে নির্মাণ করেছে ভবন ও মার্কেট। দখলবাণিজ্য নিরাপদ রাখতে তারা হাতিয়ার করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের। এজন্য সেখানে টাঙানো হয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমবায় মার্কেট’ নামে সাইনবোর্ড। অথচ এ দখলের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সংশ্লিষ্টতাই নেই!
অভিযোগ উঠেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা মোটা অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ হওয়ায় ১০ বছরেও এ অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না।
এর ফলে সড়কের পাশের সাধারণ মানুষের চলাচল পথ বন্ধ করে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। আবার খালের উপর অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠায় বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা।
জানা গেছে, রামগতি-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের চরলরেন্স বাজার সড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ জমির অবস্থান। ভূমিদস্যুরা বালু ফেলে ভরাট করে এ জমিতে গড়ে তুলেছে স্থাপনা। স্থাপনার সামনে সাঁটানো হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সমবায় মার্কেট নামের সাইনবোর্ড।
কমলনগর চরলরেন্সের মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম জানান, জমিটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি। কতিপয় লোক জায়গা দখল করে মুক্তিযোদ্ধা সমবায় মার্কেট সাইনবোর্ড ব্যবহার করছে। তদের দ্রুত অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের সহোযোগিতা কামনা করছি।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের চারিদিকে শুধু বালু আর বালু। এছাড়া বালুর গাড়িগুলো সড়কের উপর রাখার কারণে চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটছে। পুরো খাল যাতে দ্রুত ভরাট হয় সেজন্য ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে বাতাস।
কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাস্টার নুরুল আমিন জানান, এর আগেও মুক্তিযোদ্ধার সমবায় মার্কেট সাইনবোর্ড ব্যবহার নাম করে সরকারি জায়গা দখল করে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। দখলকারীরা মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। কেউ যদি দখল করে থাকে তার নিজের স্বার্থের জন্য এটা করেছে।
যোগাযোগ করা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরুক আহমেদ জয়নিউজকে বলেন, অবৈধ দখলের বিষয়টি জানা আছে। দখল হয়েছে তোরাপগঞ্জ বাজার, রামগতি, রহমতখালি ও মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় সরকারি জমি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে অবৈধ দখলদারদের তালিকা করা হচ্ছে। এরপর নোটিশ দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।