মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর গৃহিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর’ গড়ে তোলার লক্ষে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ধারাবাহিকভাবে এ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নগরের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটিয়ে এ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সকালে এ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র বলেন, নগরবাসীর প্রত্যাশা আকাশ চুম্বি। তারা পরিচ্ছন্ন শহর ও নির্মল সকাল কামনা করে। এ ধরণের একটি শহর বিনির্মাণে নগরবাসীকে ইতিবাচক মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নগরবাসীর অংশগ্রহণ, সচেতনতা ছাড়া পরিচ্ছন্ননগর গড়া চসিকের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাদের গৃহস্থালীর ময়লা আর্বজনা নেওয়ার জন্য চসিককর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, নগর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য ২ হাজার ডোর-টু-ডোর সেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গৃহস্থালীর ময়লা রাখার জন্য নগরবাসীর মধ্যে ৯ লাখ বিন দেওয়া হয়েছে। জনসচেতনা সৃষ্টির জন্য স্থানীয় দৈনিকে মাসের পর মাস বিজ্ঞাপন, মাইকিংসহ বিভিন্ন মিডিয়া বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এক সময় নগরের প্রধান সড়কসহ অলিগলি ও উপ-গলিতে সাড়ে ১৩শ’ ডাস্টবিন ছিল। বর্তমানে অর্ধেকের বেশী ডাস্টবিন অপসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে ডাস্টবিনমুক্ত নগর ও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে চসিক। তাই এ শহরকে শতভাগ পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মুজিববর্ষে পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার চসিকের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজের সুবিধার্থে নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডকে চারভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
এ কর্মসূচির আওতায় ওয়ার্ডের রাস্তা, ফুটপাত, গলি, উপ-গলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিস্কার এবং মশা নিধন কেমিক্যাল স্প্রে করার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত থাকবে। সপ্তাহ শেষে পুনরায় একইস্থান হতে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করা, নগরের বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন প্রতি মাসে দুইবার বিশেষ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষ কর্মশালা আয়োজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এছাড়া চসিক পরিচালিত কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের প্রাঙ্গনে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, এই কর্মযজ্ঞ একদিনের জন্য নয়। এ কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হবে বছরব্যাপি। কারণ ১৭ মার্চ থেকে মুজিববর্ষ শুরু হচ্ছে। ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে চসিক গৃহিত কর্মসূচি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাফ্ফর আহমদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকীসহ জেলা প্রশাসন ও চসিকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।