জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) ইকোনমিক ইমপেক্ট অব ওয়াটারলগিং ইন লোকাল ট্রেড: এ স্ট্যাডি ইন খাতুনগঞ্জ, চট্টগ্রাম অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর রিস্ক প্রোফাইল ফর চট্টগ্রাম’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ধস এবং জলাবদ্ধতা এখনোও দুর্যোগ হিসেবে রয়ে গেছে। তাইএ অবস্থা থেকে উত্তরণে মাস্টারপ্ল্যান যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ডেল্টা প্ল্যান করা হয়েছে এবং এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমানো হচ্ছে।
বর্ষা মৌসুমে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সরকার রাজস্ব হারায় উল্লেখ করে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতি বছর জলাবদ্ধতার কারণে কোটি কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সিডিএর অধীনে ৫ হাজার ৬শ’ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তবে এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিভিন্ন সময়ে করা সমীক্ষা, গৃহীত পরিকল্পনা ও জাইকা রিপোর্ট বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এনআরপি’র উপ-প্রধান ও প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুন নাহার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি খাতকে সহায়তার লক্ষ্যে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় খাতুনগঞ্জ সংক্রান্ত সমীক্ষার সুপারিশসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ইউএনডিপির প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ আবদুল্লাহ খান বলেন ভূমিকম্প, জলাবদ্ধতা ও জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি জলবায়ুজনিত দুর্যোগ ও পরিবর্তন শিল্প খাতকে কিভাবে প্রভাবিত করবে তা ভবিষ্যৎবাণী করা সম্ভব হয় না।
চেম্বার পরিচালক সৈয়দ জামাল আহমেদ খালে পানি না থাকলেও রাস্তায় পানি থাকে বলে মন্তব্য করেন।
ছৈয়দ ছগীর আহমদ ১৯৯৫ সালের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন, খাতুনগঞ্জ এলাকাকে বাণিজ্যিক জোন ঘোষণা এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের দাবি জানান।
সৈয়দ মো. তানভীর জলাবদ্ধতার কারণে খাতুনগঞ্জে কি পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় তা নিরুপণে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা পরিচালনা ও তা কার্যকর করা এবং একটি ডাটাবেইজ তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আর্কিটেক্ট ও আরবান প্ল্যানার জারিনা হুসেন, সিডিএর প্রধান নগরপরিকল্পনাবিদ মো. শহীদুল ইসলাম খান ও প্রধান প্রকৌশলী হাবীব মহিউদ্দিন, চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সামিলা রীমা ও ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার সাবেরী বক্তব্য রাখেন।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের ফ্যাকাল্টি অব আর্কিটেকচার এন্ড প্ল্যানিংয়ের ডীন প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ ও ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের পরিচালক ড. মোল্লা মো. আওলাদ হোসেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), এসএম আবু তৈয়ব ও মো. জহুরুল আলমসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী নেতারা।