চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো না। শতবর্ষ পূর্বে এক অজপাড়া গাঁয়ে জন্মেছিলেন হাজার বছরের এ শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিডিএ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
জহিরুল আলম বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মূল্য উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় ২০০৮ সাল থেকে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবেই।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস।
প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বিএফইউজের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সাবেক সহসভাপতি শহীদ উল আলম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম ও বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজ প্রমুখ।
আলোচনার আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্বলিত ম্যুরালে প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আলোচনা শেষে ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর কেক কাটেন প্রধান অতিথি এম জহিরুল আলম দোভাষ।
আলী আব্বাস বলেন, জাতির পিতার প্রতি আমরা বাঙালি জাতি সারাজীবন ঋণী। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে যে পটপরিবর্তন সাধিত হয়েছে সেটির মূলে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম, চট্টগ্রাম টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মুজিববর্ষের কেক কাটেন টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।