কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের (স্নাতকোত্তর ডিগ্রি) সমমর্যাদা দিয়ে তৈরি করা কওমী সনদের স্বীকৃতির বিল জাতীয় সংসদে অনুমোদন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক, কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক ও আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কওমী শিক্ষাব্যবস্থার স্বীকৃতি দেশের লাখো আলেম-ছাত্র সমাজের প্রাণের দাবি ছিল। দীর্ঘদিন যাবত আমরা এ জন্য চেষ্টা করে আসছি। জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিতে বিলটি পাশ হওয়ায় আমাদের দাবি পূর্ণতা পেলো। আগামী প্রজন্মের পথচলা আরো সুগম হলো।
তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, আমাদের সব শর্ত মেনে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি অনুসারে দেশের ওলামায়ে কেরাম ও আমরা দায়িত্বশীলগণ যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবেই স্বীকৃতি পেয়েছি। আমরা মনে করি, এতে কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা, ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তিতে কোন আঘাত আসবে না।
এছাড়া তিনি ওই বিবৃতিতে এ কওমি সনদ পাওয়ার জন্য যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম আহবানকারী বেফাকের প্রথম মহাসচিব শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, জাতীয় মসজিদের খতীব উবায়দুল হক, আল্লামা আতাউর রহমান, আল্লামা মুফতি ফজলুল হক আমিনী, মাওলানা আব্দুল জাব্বার জাহানাবাদীসহ বেফাকের সঙ্গে জড়িত সকলকে বিশেষভাবে স্মরণ করেন।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমর্যাদা ঘোষণা করে সরকার। ঐ দিন গণভবনে আলেমদের এক অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর আলোকেই এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জয়নিউজ/হোসেন