বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এখন অবধি ১৪ হাজার ৬৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৩৮ হাজার ৭২৪ জন। বিশ্বের ১৯২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৯২৬ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) তথ্য অনুযায়ী, রোববার (২২ মার্চ) চীনে আরো ৯ জন মারা গিয়েছেন। চীনে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ২৭০ জন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে মোট ৭২ হাজার ৭০৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ইতালি। শনিবার (২১ মার্চ) একদিনই রেকর্ড ৬৫১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন। রোববার সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ১৩৮ জনে। আক্রান্তের হার ১০.৪ শতাংশ। তার মধ্যে ৭ হাজার ২৪ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে ৩ হাজার ৯ জন আইসিইউতে আছেন।
স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৭ জন। স্পেনে একদিনে মারা গেছে ৪০০ জন। সব মিলিয়ে মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০০ ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৭৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫১ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ৩৪ হাজার ৭১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৭৮ জন।
জার্মানিতে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ২২ হাজার ৩৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ২০৯ জন।
ইরানে মোট ২১ হাজার ৬৩৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৮৫ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৯১৩ জন সুস্থ হয়েছেন।
ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৪ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ১৬ হাজার ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ২০০ জন।
অন্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ১১১, সুইজারল্যান্ড ৯৮, যুক্তরাজ্য ২৮১, নেদারল্যান্ড ১৭৯, অস্ট্রিয়া ১৬, নরওয়ে ৭, সুইডেন ২১, বেলজিয়াম ৭৫, ডেনমার্ক ১৩, কানাডা ২০, মালয়েশিয়া ১০, পর্তুগাল ১৪, জাপান ৪১, ব্রাজিল ২৫, ইরাক ২০, পাকিস্তান ৫, ভারত ৭ ও বাংলাদেশে ২ জন মারা গেছেন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনো কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডব্লিউএইচও)।