পটিয়ার প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) চার প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আবু হাসান ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, যৌন হয়রানির বিষয়ে যে তদন্ত করা হয়েছে তার কোনো সত্যতা মিলেনি। তবে ইভটিজিং ও ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণের কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পিটিআিইয়ের প্রশিক্ষক দেবব্রত বড়ুয়া যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন তার অভিযোগের ধরণ সঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে কাউকে লিখিতভাবে জানানো হয়নি। শুধুমাত্র ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছে।
এরআগে ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষক ফারুক হোসেন (শারীরিক শিক্ষা), জসিম উদ্দীন (সাধারণ), রবিউল ইসলাম (আইসিটি) ও সবুজ কান্তি আচার্যের (চারু ও কারুকলা) বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মী দেবব্রত বড়ুয়া যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এঘটনা প্রকাশ হলে পটিয়াসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্নমহলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর এ পর্যন্ত তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে-প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি, জেলা প্রশাসনের একটি ও স্থানীয় সাংসদের পক্ষ থেকে একটি।
ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে দাখিল করেছে।