করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এ অবস্থায় দেশেও চলছে লকডাউন। এরমধ্যে রয়েছে করোনা সনাক্তকরণে কিট সংকট। ইতোমধ্যে চীন থেকেও এসেছে কিছু কিট। এ কিট সংকট কাটিয়ে উঠতে এবার এগিয়ে আসলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তবে গণস্বাস্থ্য কিট উৎপাদনে গেলে সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।
জানা গেছে, দেশের জন্য প্রথম পর্যায়ে এপ্রিল মাসের মধ্যেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এক লাখ করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সহজ ও স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। সে খবর সবার জানা। কিট তৈরির অনুমোদনও সরকার দিয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান ডা. জাফরুল্লাহ।
তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট উৎপাদন একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কিট উৎপাদনে দেশি এবং বিদেশি কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। আমাদের বিদেশের প্রায় সব সামগ্রী চলে এসেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু ব্রেকডাউন করে দেওয়ার ফলে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে দেশের কাঁচামাল সংগ্রহ করতে।
তারপরেও আমার আশা রয়েছে আগামী এপ্রিল মাসের ১০ তারিখের মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের এক হাজার কিট উৎপাদন করে পরীক্ষার জন্য সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (who) কাছে জমা দিতে পারবো। এরপর তারা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন।
তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট উৎপাদন খুব কঠিন কিছু নয়। আমাদের এ পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ এবং সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে। এই পদ্ধতির জন্য বিশেষ কোনো দামি ল্যাবরেটরির প্রয়োজন নেই। যেকোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডাক্তারের চেম্বার এ পদ্ধতি ব্যবহার করে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে পারবে। আমাদের শনাক্তকরণ পদ্ধতি অত্যন্ত ভালো। ফলে ইংল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকার মতো দেশ আমাদের এ কিট নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, আমাদের সমস্যা হলো বেশি পরিমাণে এগুলো উৎপাদন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কোনোধরনের আর্থিক সহযোগিতা করা হয়নি। সরকার যদি কোনো ব্যাংকের মাধ্যমেও আমাদের টাকা ঋণ দিতো তাহলে আমরা পরবর্তীকালে নিজেদের ফান্ড থেকেই সেই ঋণ শোধ করে দিতে পারতাম।