করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বান্দরবানে সরকারী-বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্র-শ্রমজীবী মানুষদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।
এদিকে জেলায় হাসপাতাল এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ১১০ জনে। এরমধ্যে ১৪ দিনের সময়সীমা পূর্ণ করে বাড়িতে ফিরেছে ২৭ জন।
বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা: অংসুপ্রু মারমা বলেন, বান্দরবানে ১১০ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন রয়েছে হাসপাতালে। বাকিরা হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছে। বিদেশ থেকে আসা লোকজন বাড়তে থাকায় কোয়ারান্টিনের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ১৪ দিনের সময়সীমা পূর্ন করে স্বাভাবিক হয়ে ফিরেছে ২৭ জন। এখনো পর্যন্ত জেলায় কোনো করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি।
সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে পৌরসভায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দরিদ্র, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষকে বিতরণের জন্য এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী হস্থান্তর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাস এবং পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বান্দরবান জেলার ২০০ মেট্টিক টন খাদ্যশস্য, ৫০ লাখ টাকা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৭ মেট্টিক টন চাল এবং ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও সেনাবাহিনীর নিজস্ব তহবিল থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন এবং ব্যক্তি উদ্যোগেও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, তেল, ডাল, লবণ, সাবান’সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রি সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে জেলার রাস্তাগুলোতে ফায়ার সার্ভিস এবং সেনাবাহিনী গাড়িতে করে জীবানুনাশক তরল ছিটানো হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডিক্লিন এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগেও ছিটানো হচ্ছে তরল জীবানুনাশক। সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে জেলায় প্রায় ৩ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।
জয়নিউজ/শাহরিয়ার/পিডি