নগরের ৪১ ওয়ার্ডে মশা নিধন কার্যক্রম বাস্তবায়নে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এই কার্যক্রমের আওতায় ওয়ার্ড এলাকায় ল্যাবরিসাইড ওষুধ ছিটানো হবে। ইতোমধ্যে মশার প্রজনন স্থান ধ্বংসে ওয়ার্ড এলাকার নালা-নর্দমা ও জলাবদ্ধ জায়গায় ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি ঝোপঝাড় পোড়ানোর কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে।
একইসঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধান প্রধান সড়ক, অলিগলির পাশাপাশি সরু রাস্তায়ও জীবাণুনাশক পানি ছিটানোর পরিকল্পনা করেছে সিটি করপোরেশন। চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে এই কাজ করবে।
পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরকে দৈনিক সম্পাদিত কাজের ছবি তুলে তা সংশ্লিষ্ট প্রধানের কাছে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) চসিক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সমন্বয় সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বিভাগ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরের প্রতি ওয়ার্ড এলাকায় চসিকের উদ্যোগে জীবানুনাশক পানি ছিটানো হচ্ছে। চসিকের সঙ্গে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের একটি করে এবং ফায়ার সার্ভিসের দুইটি পানির ভাউজার প্রতিদিন জীবাণুনাশক পানি ছিটানোর কাজ করছে। তবে ভাউজারগুলো অলিগলি বা সরু রাস্তায় ঢুকতে পারে না। তাই চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরকে ঐ সমস্ত অলিগলিতে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে জীবাণুনাশক পানি ছিটাতে হবে।
‘একইসঙ্গে কর্মীরা মশা নিধনে ল্যাবরিসাইড ওষুধও ছিটাবে। মশার নিধনের এই ক্রাশ প্রোগ্রাম ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়িত হবে। এই কাজের জন্য ১৫০টি স্প্রে মেশিন ক্রয় করা হয়েছে। মেয়র পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরকে সঠিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।’
এসময় প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মী শফিকুল মান্নান সিদ্দিকি, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাকসহ সংশ্লিষ্ট পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।