৩০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় কোনো বস্তু কিংবা বাতাসে টিকে থাকতে পারে না করোনাভাইরাস, দাবি গবেষকদের। ফলে বাংলাদেশের মতো উষ্ণমণ্ডলীয় দেশ তুলনামূলক নিরাপদ বলেও মনে করছেন তারা। সুফল পেতে পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিতের পাশাপাশি এসি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড-১৯ বিস্তারের গতিপথ চিহ্নিত করে তা নিয়ন্ত্রণে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। বলা হচ্ছে, বেশি তাপমাত্রা আর বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকা ভাইরাসটি বিস্তারের অন্তরায়। এ গবেষণাকে আমলে নিয়ে সাধারণ মানুষকে এসি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, যেখানে তাপমাত্রা বা আদ্রতা বেশি সেখানে এই ভাইরাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা ইফেকশন ক্যাপাসিটি কমে যেতে পারে।
সিঙ্গাপুরের গবেষকরা বলছেন, ৩০ ডিগ্রির অধিক তাপমাত্রা ও বাতাসে ৮০ শতাংশের বেশি আদ্রতা করোনা বিস্তারের অন্তরায়। আর এ মুহূর্তে দেশের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি, আদ্রতাও ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। যদিও এ গবেষণা নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে, তবে দেশের বাস্তবতায় অযৌক্তিক মনে করছেন না দেশীয় গবেষকরা।
বায়ুমান গবেষক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাপমাত্রা এবং আদ্রতা যে কোনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা খেয়াল করেছি অধিকাংশ নিম্ন তাপমাত্রার দেশগুলোতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের এ বায়ুমান গবেষক বলছেন, শুধু জীবাণুকে বাঁচিয়ে রাখা নয়, বাতাসে ভেসে বেড়ানো সূক্ষ্ণ ধুলিকণায় ভর করে থাকা জীবাণু টেনেও আনতে পারে এসি। তাই দরজা-জানালা খোলা রাখা এবং বার বার পরিচ্ছন্নতার পরামর্শ তার।
ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার আরও বলেন, জীবাণুগুলো ঘরের আসবাবপত্রে লেগে থাকতে পারে। যখন তাপমাত্রা কম থাকবে তখন সেই জীবাণুগলো ধ্বংস না হয়ে দীর্ঘক্ষণ জীবিত থাকবে। এই সময় এসি ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে বায়ু সঞ্চালন করা উচিত
তবে যেহেতু এ মহামারীর প্রধান বাহক মানুষ। তাই শারীরিক দূরত্বকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।