রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় অন্য সময় চিকিৎসকরা অসুস্থদের নির্দিষ্ট ফি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সৃষ্টির পর থেকে প্রায় চিকিৎসকরা চেম্বার বন্ধ রেখেছেন। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্তরা।
এদিকে করোনাভাইরাসের ভয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে ভয় পাচ্ছেন অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা। অবশেষে নিরুপায় হয়ে অসুস্থ ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন পল্লী চিকিৎসকের কাছে।
জলিলনগর বাস স্টেশনের সুপার ল্যব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আবু জাফর জয়নিউজকে বলেন, তার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পূর্বে যেসব চিকিৎসক এসে অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা দিতেন তারা কেউ এখন আসছেন না। তবে তাদের মধ্যে শুধু ডা. কামরুল হাসান লোহানী রাঙামাটি সরকারি হাসপাতালে তার দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় জলিলনগর বাস স্টেশনের চেম্বারে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
পল্লী চিকিৎসক শংকর দে জয়নিউজকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে এলাকার অসুস্থরা তার কাছে এসে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
পশ্চিম রাউজান চারাবটতল এলাকার পল্লী চিকিৎসক লিটন কুমার শর্মা জয়নিউজকে বলেন, পূর্বে যেসব চিকিৎসক এসে এলাকার অসুস্থদের চিকিৎসা করতো, করোনার ভয়ে তারা এখন আর আসছেন না। তাই এলাকার লোকজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আমার কাছে আসলে আমি চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ জয়নিউজকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের সব কর্মকর্তা কর্মচারী, সেনাবিহিনী, পুলিশ, আনসার, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি জনগণকে রক্ষার জন্য মাঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। যেসব চিকিৎসক অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেনা তাদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেছেন এ ব্যাপারে আমার কোনো আর বক্তব্য নেই।