সামজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের জন্য প্রচারণা চালাত এই মাধ্যমটি। একজন কর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হতো অনলাইনে রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন বাড়ানোর জন্য।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডিজিটাল পরিচালক বলেছিলেন, ফেসবুকের সাহায্যকারী তাকে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে সাহায্য করেছিল।
ফেসবুক জানায় ওই নির্বাচনে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে একই সার্পোট দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
গুগলের পরেই সবচেয়ে বড় অনলাইন অ্যাডভারটাইসিং ব্রোকার ফেসবুক। গুগল এবং টুইটারও রাজনৈতিক প্রচারণায় বিশেষ উপদেশ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে থাকে। কিন্তু ফেসবুকের মতো তারা রাজনৈতিক প্রচারণা বন্ধ করার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। এদিকে ফেসবুক বলছে তারা সব রাজনৈতিক দলের জন্য তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই বিনামূল্যে বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে উপদেশ দেবে।
বুমবার্গের তথ্যমতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৪ মিলিয়ন ডলার ফেসবুকের পেছনে খরচ করেছিলেন তার নির্বাচনী প্রচারণায়।
এর আগে নানা অভিযোগে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে ফেসবুককে। ফেসবুক তার লাখ লাখ গ্রাহকের তথ্য নিজেদের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করেছিল রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ এনালিটিকার কাছে।
তারা ৫০ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে- এ খবর ফাঁস হলে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে ব্রিটিশ সংসদে তলব করা হয়।
ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে তথ্য বিক্রির অভিযোগে ব্রিটেনের তথ্য অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ফেসবুককে পাঁচ লাখ পাউন্ড জরিমানার পরিকল্পনা করে। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ জরিমানার অঙ্ক কমানোর চেষ্টা করবে কি-না সে বিষয়ে এখনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে মার্ক জাকারবার্গ এ বিষয়ে তাদের ভুল হয়েছিল বলে স্বীকার করেন। গ্রাহকদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাওয়ার এই ঘটনাটিকে ‘গ্রাহকদের বিশ্বাসভঙ্গ’ করার সামিল বলে ফেসবুকে দেওয়া বিবৃতিতে মন্তব্য করেন।
বিভিন্ন অ্যাপসগুলো ভবিষ্যতে যাতে ফেসবুক ব্যবহার করে গ্রাহকদের তথ্য চুরি করতে না পারে সেজন্য সামনের দিনগুলোতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আরো বেশ কিছু পরিবর্তন আনবে বলে অঙ্গীকারও করেছিলেন জাকারবার্গ।
জয়নিউজ/আল্পনা