প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত নগরের চার থানার ১৯টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এসব বাড়ির কেউ এখন বাইরে বের হতে পারবেন না, সেখানে কেউ ঢুকতেও পারবেন না। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পদস্থ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে শুধুমাত্র বাড়ি লকডাউন না করে পুরো এলাকা লকডাউনের পক্ষে নগরের অনেক এলাকার বাসিন্দারা। তারা বলছেন, শুধুমাত্র বাড়ি লকডাউন করে করোনা ঝুঁকি এড়ানো যায় না। এক্ষেত্রে পুরো এলাকা লকডাউন করা উচিত। এতে করে জনগণ আতঙ্কে থাকবে না। তাই তারা ব্যাপারটি সিএমপির নজরে আনতে অনুরোধ করেছেন।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, প্রয়োজন হলে পুরো এলাকা লকডাউন করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত নগরে চার থানার ৫টি এলাকার ১৯টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এসব ভবনের বাসিন্দারা পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বের হতে পারবেন না। তবে এই সময়ে সিএমপির পক্ষ থেকে তাদের সবধরনের সহায়তা করা হবে।
সিএমপি সূত্র জানায়, নগরে সংক্রমণের শুরুর দিকে খুলশী থানার দামপাড়ার এক নম্বর গলিতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িসহ একই গলির ৬টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। এরপর পাহাড়তলী থানার শাপলা আবাসিকে ৬টি ও একই থানার সাগরিকা আবাসিকে ৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। আর সর্বশেষ শুক্রবার (১০ এপ্রিল) কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গীবাজারের শিববাড়ি এলাকার ১টি ও আকবরশাহ থানার ইস্পাহানি চত্ত্বরের গোলপাহাড় এলাকার ১টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এসব বাড়ির বাসিন্দারা পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বের হতে পারবেন না।
এছাড়া নগরে পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তা বুধবার (৮ এপ্রিল) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ব্যাংক এশিয়ার আন্দরকিল্লা শাখা লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত চটগ্রামে ৫১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট ৭ জন করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত করেছে বিআইটিআইডি। এর মধ্যে ৬ জন নগরের বিভিন্ন এলাকার ও একজন সীতাকুণ্ড এলাকার বাসিন্দা।