চারদিন আগে জয়নিউজে ‘রেলস্টেশন-লালদিঘী-প্যারেড মাঠ হয়ে যাক রেয়াজউদ্দিন বাজার-বক্সিরহাট-চকবাজার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা কাঁচাবাজারগুলোর চিত্র তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনটিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাজারগুলোকে খোলা মাঠে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন জয়নিউজ সম্পাদক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন।
সেই প্রতিবেদন ও পরামর্শের এবার বাস্তবায়ন হতে চলেছে। নগরের দ্বিতীয় বৃহত্তম চকবাজার কাঁচাবাজারকে প্যারেড মাঠে স্থানান্তর করছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে শুরু থেকেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সিএমপি। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চকবাজার কাঁচাবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের নির্দেশে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসানের তদারকিতে এই কাঁচাবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে চকবাজার কাঁচাবাজার সমিতির নেতা এবং ইজারাদারদের সঙ্গে আলোচনা হয়। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন ধরে কাঁচাবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। সব দোকান মালিক এবং কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় চকবাজারের প্যারেড মাঠে প্রায় সাড়ে তিনশ’ অস্থায়ী কাঁচাঘর নির্মাণ করা হয়।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল আটটা থেকে স্থানান্তরিত এই কাঁচাবাজারে বেচাকেনাও শুরু হয়।
এ কাঁচাবাজারে রয়েছে একমুখী চলাচলের সুযোগ। একটি গেট দিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা প্রবেশ করে কেনাকাটা শেষে অন্য একটি গেট দিয়ে বের হবেন। এ প্রক্রিয়ায় একজন আরেকজনের মুখোমুখি হবে না এবং ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকবে।
বাজারটি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষার উদ্দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা যতদিন থাকবে ততদিন এ বাজারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সিএমপি জানায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উদ্দেশে নগরের অন্যান্য এলাকায়ও পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত মাঠে এরকম কাঁচাবাজার স্থাপনের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।