টেকনাফে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার থেকে পালিয়ে টেকনাফের বিভিন্ন লোকালয়ে ঢুকে পড়া ২৬ জন রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তাদের পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
সোমবার ( ২০ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহাবুব আলম তালুকদার জয়নিউজকে বলেন, বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের শীলবুনিয়া সমুদ্র পয়েন্টে মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলার থেকে ৩শ’ ৯৬জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এরপর ওসব রোহিঙ্গাদের বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইউএনএইচসিআরের কাছে হস্তান্তর করে। এখন ওই মালয়েশিয়াগামী ট্রলার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করার আগে বেশ কিছু রোহিঙ্গা লোকালয়ে পালিয়ে যায়।
এরমধ্যে সোমবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকেও ইউএনএইচসিআরের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, সোমবার পর্যন্ত উদ্ধার হওয়ার মোট ৪শ’ ২২ জন রোহিঙ্গাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে বান্দরবানের ঘুমধুম ট্রানজিট ঘাটে ৩শ’ ৩জন ও টেকনাফের কেরুনতলী ট্রানজিট ঘাটে ৭৩ জন। এছাড়াও সোমবার উদ্ধার হওয়ার আরো ২৬ জনকে বান্দরবানের ঘুমধুম ট্রানজিট ঘাটে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বুধবার উদ্ধার হওয়া ৩শ’ ৯৬জনের মধ্যে ৭ জন রোহিঙ্গার করোনার নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট করা হয়েছে। তবে রোববার প্রকাশিত রিপোর্টে সবার রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ।
তিনি আরো বলেন, উদ্ধার হওয়া মোট ৪শ’২২ জন রোহিঙ্গাকে কোয়ারেন্টাইন শেষে স্ব-স্ব ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জকে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের তিনটি পয়েন্ট ব্যবহার করে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবির থেকে ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া রওনা করে। কিন্তু কয়েকবার চেষ্টার পর মালয়েশিয়া ঢুকতে না পেরে পুনরায় দুই মাস পর টেকনাফে ফিরে আসে। পরে বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাতে তাদের মধ্যে ৩শ’৯৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।