নগরের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় কবিরাজ শাহির মো. সাগর হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকায় মূল হোতাসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) ভোর থেকে টানা অভিযান করে তাদের নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি লোহার পাইপ ও আটটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো-মূল হোতা মহিউদ্দিন (২২), তার বন্ধু মো. রাব্বি (২১), মো. কাইয়ুম (১৯), মো. ইরফান (১৯), নাইমুল হক ওরফে সাকিব (১৯) ও আব্দুল করিম ওরফে রিফাত (১৯)।
এদের মধ্যে রাব্বি, মহিউদ্দিন, কাইয়ুম, ইরফান ও নাইমুল হক ওরফে সাকিব কর্ণফুলী থানার ইছানগর ও মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা। অপর আসামি আব্দুল করিম ওরফে রিফাত সন্দ্বীপের রহমতপুর কেঞ্জাতলীপাড়ার বাসিন্দা। তবে নগরে এরা সবাই একইপাড়ায় থাকতো।
র্যাব চান্দগাঁও ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী তারেক আজিজ জয়নিউজকে জানান, ১৯ এপ্রিল কবিরাজ শাহিরকে পিটিয়ে আহত করেন কয়েকজন দুর্বৃত্ত। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কবিরাজ মারা যান। এরপর থেকে র্যাব সদস্যরা ছায়া তদন্তে নামে, এবং ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় ছয়জনকে আটক করে।
তারেক আজিজ আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মহিউদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। যা মেনে নিতে পারেননি মেয়ের মা। পরে মেয়ের মা এই প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্যে কবিরাজ শাহিরের কাছে ঝাঁড়ফুক করার জন্যে নিয়ে যান।
তিনি জানান, এই ঘটনার কিছুদিন পর মেয়েটি তার প্রেমিক মহিউদ্দিনের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এবং বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে মেয়েটি কবিরাজের ঘটনা মহিউদ্দিনকে বললে মহিউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে কবিরাজকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে এবং পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে স্থানীয় গোয়ালপাড়ায় কৌশলে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এতে সহায়তা করে তার বন্ধুরা
তিনি আরও জানান, আটককৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারপরও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আরও কেউ সম্পৃক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে জানান র্যাব।