বৃষ্টি আর বজ্রপাত হলেও হালদা নদীতে ডিম ছাড়েনি মা মা। তবে মাছের আনাগোনা বেড়েছে, বৃষ্টি আর বজ্রপাত হলে নদীতে মাছ ডিম ছাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। তাই ডিম ছাড়ার প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন তারা।
জানা গেছে, প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতি বছর চৈত্র মাস থেকে আষাঢ় মাসে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ মাছ ডিম ছাড়ে।
নদীতে ডিম ছাড়ার পর রাউজান–হাটহাজারীর নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা প্রবল বৃষ্টি বজ্রপাতের সময় পাহাড়ি ঢলের শ্রোতকে উপেক্ষা করে নদীতে নৌকা ও জাল নিয়ে মা মাছের ডিম সংগ্রহ করে।
এদিকে চৈত্র শেষ হয়ে বৈশাখ মাসে মাছ ডিম না ছাড়ায় সংগ্রহকারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পিযুষ প্রভাকর জয়নিউজকে বলেন, হালদায় মা মাছ যেকোনো সময়ে ডিম ছাড়তে পারে। ডিম ছাড়ার পূর্বে নমুনা ছাড়ে নদীতে। নমুনা ছাড়ার পর মাছ নদীতে ডিম ছাড়ে। প্রবল বর্ষণ ও বজ্রপাত হলে যেকোনো সময়ে হালদা নদীতে মাছ ডিম ছাড়তে পারে। মৌসুমের শুরুতেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে মৎস্য বিভাগ।
ডিম সংগ্রহকারী ইমতিয়াজ, অংকুরীঘোনা এলাকার বাসিন্দা বিতান বড়ুয়া জয়নিউজকে বলেন, বর্ষণ ও বজ্রপাত হলেও মাছ নদীতে ডিম ছাড়েনি। কবে ডিম ছাড়বে এ প্রতীক্ষায় সব প্রস্তুতি নিয়ে আমিসহ ডিম সংগ্রহকারীরা প্রতীক্ষার প্রহর গুণছি।
এছাড়া নদীর তীরে মাটির কুয়া খনন করে ডিম ফুটানোর জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে বলে তারা জানান।