নগরের খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পান-সুপারির গোডাউনে লুকিয়ে রাখা ১২ টন আদা জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তিন দোকানদারকে জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেটে এক টানা অভিযান পরিচালনা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।
এ সময় একতা ট্রেডার্সের মালিককে ৫০ হাজার, শাহাদাত ট্রেডার্সের মালিককে ৫০ হাজার এবং মাহবুব খান সওদাগরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে ৩২ জন আমদানিকারক আড়তদার এবং ব্রোকারদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় কেনা আদা ২৫০ টাকা পর্যন্ত পাইকারিতে বিক্রি করছেন। যা কোনোভাবেই ১২০ টাকার বেশি হওয়ার কথা না।
তিনি আরো বলেন, আজকের অভিযানে যে চারজন আড়তদারকে জরিমানা করা হয়েছে তারা আমদানিকারক আজাদ সিন্ডিকেটের লোক বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। আজাদ সিন্ডিকেটের আমদানি লাইসেন্স বাতিল করতে ডিসি স্যারের মাধ্যমে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবো।
তবে অভিযানে আমরা যেটুকু দেখেছি, বাজারে আদার কোনো সংকট নেই। আদা নানা জায়গায় মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা চলছে। আমদানিকারক, আড়তদার এবং ব্রোকাররা সিন্ডিকেট করে পেপারলেস মার্কেট তৈরির মাধ্যমে ফোনে ফোনে আদার দাম বাড়াচ্ছেন। আমরা এটা হতে দেবো না বলে যোগ করেন জেলা প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা।