রাজশাহীতে গত এক সপ্তাহে ৬ শতাধিক নমুনা পরীক্ষায় একজনও করোনা রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের তৎপরতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম বলে মনে করছেন জেলা সিভিল সার্জন। নগরবাসীও বলছেন, ব্যক্তিগত সুরক্ষায় জোর দেওয়ায় ঝুঁকি কমেছে।
করোনার বিস্তার রোধে রাজশাহী শহরের প্রতিটি প্রবেশ পথে তৎপর সশস্ত্রবাহিনী। গেল তিন সপ্তাহ ধরে শহরে ঢোকা-বের হওয়া বন্ধ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতেই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৭ জন বলে মনে করছেন সিভিল সার্জন ড. এনামুল হক।
তিনি বলেন, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসা মানুষের সংখ্যা কম ছিল। যারা এসেছে তাদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছিলাম। রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ অনেকটা সচেতন। পুলিশ প্রশাসন জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগ সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ সবার উদ্যোগ মানুষকে সচেতন করা গেছে।
যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তারা মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসের মতো সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছেন। স্থানীয়রা বলেন, লকডাউন দেওয়াতে আমরা উপকৃত হয়েছি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত রোববার প্রথম বাঘা উপজেলার এক বৃদ্ধ মারা যান। আইইডিসিআরের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী জেলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।