জয়নিউজবিডি ডেক্স:একই চেহারার দুজন মানুষকে দেখে থমকে যাই। কিছুক্ষণ পর অবশ্য বুঝে যাই, তারা যমজ। যমজ মানুষদের নিয়ে কিন্তু আমাদের সবারই কিছুটা কৌতূহল কাজ করে।
এদিকে, যমজ সন্তানের মায়েদের ওপর এক গবেষণা চালানো হয়েছে। যা ‘জার্নাল অব রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়। এ রিপোর্টে দাবি করা হয়, যে সব মহিলাদের উচ্চতা বেশি তাদের যমজ সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনাও বেশি।
তবে মায়ের উচ্চতার সঙ্গে যমজ সন্তান জন্মদানের সম্পর্ক কি? আমাদের শরীরের বেড়ে ওঠার জন্য কিছু বিশেষ বিষয় কাজ করে, যেগুলোকে ‘গ্রোথ-ফ্যাক্টর’ বলা হয়, যে বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে ইনসুলিন নামে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন। এ ইনসুলিন বোন সেল (Bon cells)-এর বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে।
একই সঙ্গে মেয়েদের লম্বা হওয়ার প্রবণতা ও যমজ সন্তান জন্মদানের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রিত করে। যমজদের ব্যাপারে আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্য বের হয়ে এসেছে গবেষণায়।
যেমন-বিজ্ঞানের ভাষায় ‘আইডেন্টিক্যাল টুইন’বলে একটা কথা আছে। যেসব যমজের দেখতে হুবহু একই রকম, তাদের ক্ষেত্রেই ‘আইডেন্টিক্যাল টুইন’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এদের শরীরে একই ধরনের জিন বহন করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের আচরণ সম্পূর্ণ আলাদা।
গবেষকরা বলছেন, একই চেহারার যমজদের আচরণগত পরিবর্তনের জন্য তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দায়ী হতে পারে। পরিবেশের কারণে এ যমজদের শরীরে থাকা জিনে কিছু পরিবর্তন চলে আসে। ফলে যমজদের আচরণ আলাদা হয়ে যায়।
আপাতভাবে দেখতে অনেক যমজ প্রায় একই রকম হলেও তাদের হাতের রেখায় পার্থক্য থাকে। সেই সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপও আলাদা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় অবস্থানগত সামান্য ভিন্নতা জন্মের পর যমজদের বিভিন্ন সূক্ষ্ম দৈহিক পার্থক্য করে দেয়।