করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে অঘোষিত লকডাউনের কারণে বিপাকে পরা পটিয়ার দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
রমজানের রোজা রেখে রোদের ভ্যাপসা গরমে মাঠে নেমে কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ। এতে শ্রমিক সঙ্কটে থাকা কৃষকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
জানা যায়, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বিজিএমইএ নেতা মো. নাছির পটিয়ার দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে নির্দেশনা দেন উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রুবেল উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, নাছির ভাইয়ের নির্দেশে পটিয়ায় ইউনিয়নভিত্তিক টিম গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন সামাজিক দূরত্ব মেনে কোনো না কোনো বিলে নেমে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার আশিয়া, কাশিয়াইশ, কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, কুসুমপুরা, জিরি, শোভনদন্ডিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে যে সমস্ত বিলে বোরা ধান পেকেছে সেসব এলাকার কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ি ধান কেটে দিচ্ছে নেতাকর্মীরা।
এদিকে মঙ্গলবার (৫ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের টিম ধান কেটেছে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে। কুসুমপুরা গ্রামের কৃষক রফিকের ৪০শতক জমির ধান কেটে ছাত্রলীগকর্মীরা কৃষকের ঘরে পৌঁছে দেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রুবেল উদ্দিনের নেতৃত্বে ধানকাটায় অংশ নেন জানে আলম, জিসান, জিল্লু, শাহজাহান, তানভির, বেলাল, রফিক ও মুন্নাসহ প্রায় ১৫জনের টিম। এভাবে পটিয়ার যেসমস্ত বিলে ধানকাটা শ্রমিকের অভাবে কৃষকরা ধান কাটতে পারছেনা তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ছাত্রলীগ।
এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলেন, আমাদের নেতা মো.নাছিরের নির্দেশে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে যেসমস্ত কৃষক-শ্রমিক কিংবা অর্থ সংকটে পাকা ধান কাটতে পারছেন না তাদের সাহায্য করা হবে জানিয়ে ফেসবুকে নাম্বার দিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। আজ (মঙ্গলবার) কুসুমপুরার কৃষক রফিক যোগাযোগ করলে আমরা তার পাশে গিয়ে দাঁড়াই।
কৃষক রফিক জয়নিউজকে বলেন, আমি দুই কানি জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি, ধানও পেকেছে। দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বাজারে শ্রমিক না পেয়ে যখন আমার কপালে ভাঁজ পড়ে আজ ছাত্রলীগের ভাইয়েরা এসে আমার জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়ে গেলেন। এই সময়ে তারা কৃষকের পাশে এসে দাঁড়ানোয় পটিয়ার অনেক কৃষক চিন্তামুক্ত হবে বলে জানান তিনি।