বান্দরবানে করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আরও ২ জন। এরা হলেন- থানচি সোনালী ব্যাংকের গার্ড পুলিশ সদস্য আবু জাফর এবং নাইক্ষ্যংছড়ি কম্বোনিয়া গ্রামের নারী জান্নাতুল হাবিবা।
শুক্রবার (৮ মে) দুপুরে করোনাআক্রান্ত জাফর ১৪ দিনের মাথায় এবং হাবিবা ১২ দিনের মাথায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এরআগে জেলায় প্রথম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের করোনা আক্রান্ত রোগী আবু ছিদ্দিকও সুস্থ হয়ে ষোল দিনের দিন নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মো. সেলিম জয়নিউজকে বলেন, নাইক্ষ্যংছড়িতে আক্রান্ত সনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচজন।
তারমধ্যে দ্বিতীয় জন সুস্থ শুক্রবার বাড়ি ফিরে গেছেন। তারআগে প্রথম সনাক্ত করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। বর্তমানে বাড়ি ফিরে যাওয়া নারীর আত্মীয়-স্বজন আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারাও ভালোর দিকে। চিকিৎসায় সুস্থ হচ্ছে আক্রান্তরা। আতঙ্কের কিছু নেই।
সদর হাসপাতালের করোনা বিভাগের কর্মকর্তা ডা. পত্যুষ পাল জয়নিউজকে বলেন, সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনাআক্রান্ত থানচির পুলিশ সদস্য আবু জাফর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন শুক্রবার। তিনি ২১ এপ্রিল করোনা সনাক্ত হন। সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শুরু হয় ২৪ এপ্রিল থেকে। বর্তমানে থানচি উপজেলার বড়মদকের বাসিন্দার একজন ঠিকাদার চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও ভালোর দিকে।
অপরদিকে জেলায় আক্রান্ত সদর হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থানচি, লামা এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আরও ছয়জন রোগীর দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা জয়নিউজকে বলেন, জেলার সাতটি উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত ৬শ’ ৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার দুটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ৪শ’ ৫১জনের রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। তারমধ্যে নয়জন প্রজেটিভ অর্থাৎ করোনাআক্রান্ত রোগী পেয়েছি। বাকি রিপোর্ট গুলোর ফলাফল এখনো পায়নি। সনাক্ত রোগীদের মধ্যে দুইজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আরও ছয়জনের দ্বিতীয়বারের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে।