দুই দিনের ব্যবধানে হাটহাজারীতে গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বারের মত ৩২ বছর বয়সী এক মহিলার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও আক্রান্ত নারীর বাসস্থানের কোনো সন্ধান পায়নি উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সৈয়দ মো. ইমতিয়াজ হোসাইন নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ বছর বয়সী হাটহাজারীতে এক মহিলার শরীরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ওই মহিলা হাটহাজারী ২নং ধলই ইউনিয়নের মুনিয়াপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি চলতি মাসের ৩ মে চমেক হাসপাতাল থেকে নমুনা দেন। তাঁর নমুনা চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষার পর শুক্রবার ওই নমুনার ফলাফল পাওয়া যায়। এতে ওই মহিলার শরীরে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এদিকে, করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা দেওয়ার সময় ওই মহিলার যে মোবাইল ফোন দিয়েছিল তা বন্ধ থাকায় তাঁর বাড়ির বিস্তারিত ঠিকানা এখনও খোঁজে পায়নি প্রশাসন। তবে পুলিশ তাঁর বাড়ি লকডাউন করার জন্য প্রস্তুত। বিস্তারিত ঠিকানা পেলে তাঁর বাড়ি গিয়ে লকডাউন করবে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আক্রান্ত মহিলাটি কখনো হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেননি তাছাড়া নমুনা পরীক্ষার সময় হাটহাজারী উপজেলার যে ঠিকানাটা উল্লেখ করা হয়েছে সে বাড়িটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের সহায়তায় আক্রান্ত মহিলার খোঁজে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম।
এর আগে শুক্রবার (৮ মে) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ৬১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। যার মধ্যে একজন মহিলা হাটহাজারীর বাসিন্দা বলে জানায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন।
প্রসঙ্গত, ৬ মে (বুধবার)উপজেলায় প্রথমবারের মত ২৮ বছর বয়সী এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ওই যুবকের বাড়ি উপজেলা ২নং ধলই ইউনিয়নের ৩নং ওর্য়াডে। সে দীর্ঘদিন ধরে ওই ইউনিয়নের কাটিরহাট বাজারে একটি কম্পিউটারের দোকানে চাকরি করতো।