চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে শনাক্তের আগেই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে মৃত ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জনেরই মৃত্যুর পর করোনা পজিটিভ এসেছে। এতে করে এলাকাগুলোতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, পাশাপাশি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, রোগীর মৃত্যুর আগে নানা উপসর্গ দেখা যাওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার সহায়তা চেয়েও পাওয়া যায় না। মৃত্যুর পরে করোনা পজিটিভ আসছে। এতে করে আমাদেরও আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে।
তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তার দাবি, সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে দ্রুত সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, কিছু কিছু রোগী এসেই মারা গেছে। সেই সময় আমাদের স্যাম্পল নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শনাক্ত করে রোগীকে পৃথক করতে হবে। তা না করা গেলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। অনেক রোগী তথ্যও লুকায়, এ সময়ে এসব করলে সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে বাড়বেই। তাই রোগীকেও সচেতন হতে হবে।
বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল বলেন, করোনা রোগীকে কেউ ভালোভাবে নেয় না, ফলে অনেকেই না জানিয়ে বাসায় থাকতে গিয়ে মারা গেছেন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক অসিম কুমার নাথ বলেন, প্রত্যেকেরই অন্য রোগ আছে। অন্য রোগের কারণেই করোনা আরো খারাপের দিকে গিয়ে মারা যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় প্রথম এক বৃদ্ধ শনাক্তের আগে মারা গিয়ে ভাইরাস ছড়িয়েছেন তার ছেলেসহ অন্তত ৬ জনের শরীরে। এরপর গত এক মাসে মৃত্যুর পর শনাক্ত হয়েছেন অন্তত ৯ জন। এতে সংক্রমণ বাড়ছে।