কক্সবাজারের চকরিয়ায় চম্পা বেগম (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাজ্জাদ হোসেন (৩০) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এ সময় দেশীয় তৈরি দুইটি বন্দুক, কয়েক রাউন্ড গুলি ও ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ মে) ভোর রাতে চলা বন্ধুকযুদ্ধে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদেরকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে কোনাখালী ইউনিয়নে সাজ্জাদকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যান চকরিয়া থানা পুলিশ। কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা এবিসি মহাসড়কের চম্পা খুন হওয়া স্থানে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা সাজ্জাদ হোসেনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এসময় পুলিশও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ২০ মিনিট গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে সাজ্জাদের সহযোগীরা পিছু হটে। এসময় সড়কে সাজ্জাদ হোসেনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চকরিয়া থানায় নিয়ে যায়।
নিহত সাজ্জাদ হোসেন পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার আবুল হোসেন প্রকাশ পুতুর ছেলে।
পুলিশ জানায়, সাজ্জাদ হোসেনকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় জনতা নিজগ্রাম পেকুয়া সদরের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকা থেকে আটক করে পেকুয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করে। ওই দিন পেকুয়া থানা পুলিশ সাজ্জাদ হোসেনকে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর চকরিয়া থানা পুলিশ সাজ্জাদকে নিয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে যান।
জানা গেছে, গত ৬ মে সিএনজি যোগে চম্পা চট্টগ্রাম শহর থেকে নিজ বাড়ি কক্সবাজারের খরুলিয়ায় ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে চকরিয়া কোনাখালী মরংঘোনা এবিসি মহাসড়কে চলন্ত গাড়ি থেকে ছোড়ে ফেলে দিয়ে নিমর্মভাবে হত্যা করে সাজ্জাদের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। এর আগে চম্পাকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে তারা। চম্পা খরুলিয়া নয়াপাড়া এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে।
ঘটনার পরের দিন র্যাব সিএনজিচালক জয়নাল আবেদীনকে পেকুয়া সদরের নন্দীরপাড়া থেকে আটক করে। এ সময় ওই সিএনজি গাড়িটিও জব্দ করে র্যাব। জয়নাল নন্দীর পাড়া গ্রামের মো. আলীর ছেলে। র্যাবের কাছে জয়নাল সাজ্জাদ হোসেনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান জানান, পুলিশ নিহত সাজ্জাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করবে।