সারাদেশে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা বিতরণের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসবভন গণভবন থেকে ভিডিও করফারেন্সের মাধ্যমে এ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস। শুরুতেই তিনি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ভিডিওচিত্র প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ যখন সরকারে থাকে তখন বাংলাদেশে কোনো মঙ্গা বা দুর্ভিক্ষ থাকে না। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর এ কার্যক্রম আরও বেশি করে শুরু করি। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা দারিদ্র্যের হার আরও কয়েকধাপ কমিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ। সেই লক্ষেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এ সহায়তার জন্য ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি পরিবারে চারজন সদস্য ধরা হলে এ নগদ সহায়তায় উপকারভোগী হবে অন্তত দুই কোটি মানুষ। ভাতা পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ নিম্ন আয়ের নানা পেশার মানুষ।
তালিকাভুক্তদের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট, এবং শিউরক্যাশের মাধ্যমে সরাসরি চলে যাবে এ টাকা, ফলে বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না তাদের। টাকা পাঠানোর খরচ সরকার বহন করবে। এই টাকা উত্তোলন করতে ভাতাভোগীদের কোনো খরচ দিতে হবে না।
এছাড়া একই সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং/অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্বলিত বোতাম টিপে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।