কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় অপহরণের এক ঘন্টা পর এক ইউপি সদস্যকে আহত অবস্থায় চেয়ারম্যানের জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অপহৃত ইউপি সদস্যের নাম মো. নেজাম উদ্দিন (৩৮) প্রকাশ নেজু মেম্বার। তিনি রাজাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মিয়া পাড়া গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে। পুলিশের অভিযানে উদ্ধারের পর ইউপি সদস্য নেজুকে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৬ মে) দুপুর ২টার দিকে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী লোক ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে বলে জানা যায়।
ইউপি সদস্য মো. আজম উদ্দিন আজু ও অপহৃত ইউপি সদস্যের স্ত্রী জানান, শনিবার দুপুরে ইউপি সদস্য নেজু পরিষদে যান। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই নেজুকে ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী জোরপূর্বক একটি অটোরিকশাতে উঠিয়ে একই ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়ায় চেয়ারম্যানের ডেরায় নিয়ে যায়। এসময় নেজুকে ব্যাপক হাতুড়ি পেঠাসহ মারধর করে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন। এ ঘটনায় তিনি (মো. আজম উদ্দিন) প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যানের লোকজন তাকেও অপহরণের চেষ্টা করেছে।
ওই ইউপি সদস্য আরো জানান, এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পেকুয়া থানা পুলিশ খবর দেওয়া হয়। পেকুয়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ইউপি সদস্যকে রাজাখালীর ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের ডেরা থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে পেকুয়া থানা পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ইউপি সদস্যকে অপহরণের বিষয়ে জানতে রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের মুঠোফোনে একাধিকার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
তবে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আলী ওয়াজেদ এমএ জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইউপি সদস্য নেজামের সঙ্গে ইউপি সচিবের কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে কেউ অপহরণ করেনি।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানায়, অপহৃত নেজু মেম্বারকে চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।