একদিকে বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে ধাবমান ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’-এর কারণে আতঙ্ক, অন্যদিকে দিনব্যাপী তাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি, এ কারণে দৃশ্যমান তাপমাত্রার তুলনায় বেশি তাপ অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়- ঢাকা, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, রাজশাহী, পাবনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চল এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হলে এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
জানা যায়, রোববার (১৭ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় ৩৬, ময়মনসিংহে ৩৪, চট্টগ্রামে ৩৪ দশমিক ৭, সিলেটে ৩৪ দশমিক ১, রংপুরে ৩৪, রাজশাহীতে ৩৮, খুলনায় ৩৭.৮ এবং বরিশালে ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, একদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব, অন্যদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে আর্দ্রতা বেশি। এ কারণে তাপমাত্রার তুলনায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে ঝড় যত এগিয়ে আসবে, ততই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আম্ফানের প্রভাবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ এবং বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে কমে আসতে পারে তাপমাত্রা।