প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) পর্যবেক্ষন ও আইসোলেশন ইউনিট মিলিয়ে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আলাদা একটি ব্লকে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার এই কার্যক্রম শুরু হয়।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামে করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় চমেক হাসপাতালে আজ থেকে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে।
সিটি মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জনসহ বিএমএ নেতাদের উপস্থিতিতে এই ওয়ার্ডের উদ্বোধন করা হয়।
হলি’র করোনা যাত্রা শুরু
একইদিন করোনা রোগীদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় ও সিটি মেয়রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নতুন আঙ্গিকে চালু করা হলো হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। এদিন দুপুরে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
হাসপাতালটিতে ১১টি আইসিইউ বেডসহ ১০০ শয্যা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, এসডিওসহ আনুষঙ্গিক সব সুযোগ সুবিধা থাকছে।
এটি জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ইউনিট-২ হিসেবে পরিচালিত হবে। রোস্টার করে এখানে সরকারিভাবে চিকিৎসক, নার্স ও জনবল কাজ করবে। ইতোমধ্যে এখানে ২০ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বেশ কিছু ওয়ার্ডবয়, নার্স, স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে তাদের কর্মস্থলে যোগদান করেছে। হাসপাতালটি একজন সহকারী পরিচালক বা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে পরিচালিত হবে।
এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল ডা. এসএম হুমায়ুন কবির, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. লিয়াকত আলী খান, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার নাথ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএমএ সভাপতি প্রফেসর ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, প্রফেসর ডা. মাসুদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।