বীরাঙ্গনা রত্না চক্রবর্তী। বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার সুখছড়ি ব্রাক্ষণপাড়ায়। চট্টগ্রাম শহরের এক বিপণী বিতানের ঝাড়ুদার হিসেবে ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন তিনি। আর থাকেন চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ানবাজারের ভরা পুকুর পাড় এলাকায়।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সেই বিপনী বিতান বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন কাটছে তার। জীবিকা বন্ধ থাকার পাশাপাশি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রত্না চক্রবর্তী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুব কষ্ট করছেন।
এ ব্যাপারে রত্না চক্রবর্তী বলেন, এ বয়সেও ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করি, তাতে কোনো দুঃখ নেই। কিন্তু বর্তমানে যেখানে কাজ করি তা বন্ধ থাকার কারণে ঠিকমতো বেতনও পাচ্ছি না। অনেক মানুষ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও সরকারি ভাতা পেলেও আমি তা পাইনি। পরিবারের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।
‘তবে স্থানীয়ভাবে নাম, ঠিকানা ও ভোটার আইডি কার্ডের কপি সংগ্রহ করে নিয়ে গেলেও এখনও কিছু হয়নি। এক বছর আগে বীরাঙ্গনা হিসেবে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হলেও এখনও বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সরকারি ভাতা পাইনি।’
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ জানান, সম্প্রতি বীরঙ্গনা রত্না চক্রবর্তীর ফাইলটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগির তাঁর ভাতাপ্রাপ্তির বিষয়টি সুরাহা হয়ে যাবে। যেহেতু তিনি চট্টগ্রাম শহরে থাকেন সে কারণে তিনি ওখান থেকে ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার কথা।