বীরকন্যা প্রীতিলতার ৮৬তম আত্মাহুতি দিবস আজ। ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করতে গিয়ে আত্মাহুতি দেন অগ্নিযুগের এই বিপ্লবী কন্যা।
১৯১১ সালের ৫ মে জন্ম নেওয়া প্রীতিলতার ডাকনাম রাণী, ছদ্মনাম ছিল তার ফুলতারা। পরে তিনি পরিচিত হন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার নামে, যিনি ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারীযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী নারী শহীদ।
বিপ্লবী সূর্য সেনের নেতৃত্বে ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন প্রীতিলতা। ইউরোপিয়ান ক্লাবের প্রবেশদ্বারের সাইনবোর্ডে লেখা ছিল- ‘কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ’। ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে প্রীতিলতার নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি দল সেই ইউরোপিয়ান ক্লাবে আক্রমণ চালায়। প্রীতিলতা হুইসেল বাজিয়ে আক্রমণের নির্দেশ দেন। গুলি আর বোমার আঘাতে পুরো ক্লাব কেঁপে উঠে। সফল আক্রমণ শেষে ফেরার পথে আহত প্রীতিলতা পুলিশের হাতে আটক এড়াতে নিজের কাছে থাকা পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
দিনটিকে স্মরণ করে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবে নির্মিত তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, পটিয়া প্রীতিলতা ট্রাস্ট, বাসদ (মার্কসবাদী), ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, শিশু কিশোর মেলাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
এই সময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নগর সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শোষণ রুখে দিতে মাস্টারদা-প্রীতিলতারা জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ ইংরেজ নেই, তবু সমাজে অন্যায়-শোষণ-বঞ্চনা কমেনি।
তিনি অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের জীবনগাথা অন্তর্ভুক্ত করা এবং সেই ইউরোপিয়ান ক্লাবকে (বর্তমানে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের একটি অফিস) প্রীতিলতা স্মৃতি জাদুঘর ঘোষণার দাবি জানান।
জয়নিউজ/আরসি