মহামারি করোনাভাইরাস গোটা পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। আর শুধু এ কারণটিই ‘অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞের’ কারণ হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষের পাশপাশি ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক উৎপাদনে ৮ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ক্ষতি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, যা শত বছর আগের মহামন্দার পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্টের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জাতিসংঘের প্রধান আরও বলেছেন, তবে সব দেশ যদি একতা ও সংহতির সঙ্গে পদক্ষেপ নেয় তাহলে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গুতেরেস বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে। তবে এই মহামারি আমাদের নানা অসামঞ্জস্যতা সামনে এনেছে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি সত্ত্বেও ক্ষুদ্র এক ভাইরাসের কারণে আমরা নজিরবিহীন মানবিক সংকটের মধ্যে পড়েছি।’
নজিরবিহীন এই সংকট মোকাবিলায় সব দেশকে সংহতি ও একতা বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস। ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানান তিনি। এর ফলে ৮ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের বৈশ্বিক উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এরপর জ্যামাইকার প্রধামন্ত্রী অ্যান্ড্র হলনেস ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন গুতেরেস। এ সময় বিশ্বব্যাপী দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তন ও অসমতার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
কনফারেন্স পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পরস্পরকে এড়িয়ে চলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গুতেরেস বলেন, ‘দু’টি দেশই আমাদের কাজের সঙ্গে সমন্বয় করছে।’
সম্প্রতি নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি, বাণিজ্য যুদ্ধ ও সর্বশেষ হংকং নিরাপত্তা বিল নিয়ে তুমুল দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। সমালোচকরা মনে করেন, মহামারির সময়ে বিশ্বের দুই ক্ষমতাধর দেশের মুখোমুখি অবস্থান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।