করোনার কারণে স্কুলে যেতে পারিনি কেউ কিন্তু জিপিএ-৫ পাওয়ার খুশি যেনো এ দুর্যোগ পরিস্থিতিকেও হার মানায়। এদিকে মা মিলকি ঘোষ আর ছেলে অর্ণবের মধ্যে এ যেন এক মহাআনন্দ। ছেলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে শোনা মাত্রই ছেলে উৎসের কপালে চুম্বন তিলক এঁকে দিলেন মা। মার চোখে ছিল আনন্দাশ্রু। প্রত্যাশিত রেজাল্ট পেয়ে মা-ছেলের এতো দিনের সংগ্রাম যেন পূর্ণতা পেল। এমন দৃশ্য দেখা গেল কলেজিয়েটের শিক্ষার্থী অর্ণবের দেওয়ানবাজারের বাসায়।
রোববার (৩১ মে) সকালের চিত্র ছিল ঠিক এমনই আনন্দের।
মা ও ছেলের এ আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কলেজিয়েট স্কুল চট্টগ্রাম বোর্ডে শীর্ষে থাকতে পারার খুশিতে।
এবারও প্রথম স্থান ধরে রেখেছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। এখানে পরীক্ষার্থী ছিল ৪৭০ জন, এরমধ্যে পাস করেছে ৪৬৯ জন।
এছাড়াও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সরকারি মুসলিম হাই স্কুল। এখানে ৪৪২ পরীক্ষার্থী ছিল। পাসের হার শতভাগ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে ৪৬৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাস। চতুর্থ স্থানে আছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে ৩৪০ পরীক্ষার্থীর শতভাগ পাস। পঞ্চম স্থানে আছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় (বাওয়া)। এখানে পরীক্ষার্থী ছিল ৪৬২ জন তবে শতভাগ পাস।
এদিকে, ১ হাজার ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬ জন শিক্ষার্থী ১৯৬ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৮৮৮ জন। পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ এ তথ্য জানান।