দিন যতই যাচ্ছে ততই বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা। সেখানে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে মারা গেছেন ৫ জন।
বন্দরের তথ্য মতে, গত শনিবার (৩০ মে ) ভোরে করোনার লক্ষণ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পার্সোনাল অফিসার (পিএ) মো. আব্দুল আব্দুল মন্নান (৪৫) মারা যান। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
একই সময়ে আরেকজন কর্মচারী আবদুর রশিদ মিয়াজি (৪৫) মারা যান করোনা উপসর্গে। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের যান্ত্রিক বিভাগে হাইস্টার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আবদুর রশিদ মিয়াজির বাড়িও নোয়াখালী জেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে থাকতেন নগরের পোর্ট কলোনিতে ।
এছাড়া গত ২৮ মে করোনায় মারা যান বন্দরের নৌ বিভাগের লস্কর আলী আক্কাস (৫০)। ২৬ মে করোনায় মারা যান বন্দরের পরিবহন শাখা সহ পরিবহন পরিদর্শক আকরাম উল্লাহ চৌধুরী (৫৮)। একই দিনে আবদুল হালিম (৫৫) নামে চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের এক উচ্চমান বহিঃসহকারির মৃত্যু হয়েছিল করোনায়।
বন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, মৃত আবদুর রশিদ মিয়াজির করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছিল। আর নৌ বিভাগের লস্কর আলী আক্কাসের করোনা রির্পোট রোববার (৩১ মে) পর্যন্ত আসেনি।
গত ৩১ মে রোববার পর্যন্ত বন্দরে করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮৭ জনের। শনাক্ত হয়েছে ৩৯ জনের। রিপোর্ট পেন্ডিং আছে ৩৪ জনের।
এছাড়া আইসোলেশনে আছেন ৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন আরো ২৩৬ জন। ফের কাজে যোগদান করেছেন ৩৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন মাত্র একজন।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জয়নিউজকে বলেন, বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাণঘাতী করোনা থেকে রক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় শিগগিরই বন্দর হাসপাতালে চালু হচ্ছে করোনা ইউনিট। থাকছে আইসিইউ সুবিধা। বন্দর সিবিএর দাবির প্রেক্ষিতে ভেন্টিলেটর স্থাপনের বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে।