বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির মিয়ানমমার সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-মাদক চোরাকারবারীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় মাদক পাচারকারী চক্রের আব্দুর রহমান (২৫) নামে এক রোহিঙ্গা সদস্যের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি।
সোমবার (১ জুন) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্তে গোদাপাড় এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পেট্টোল টিম অভিযান চালায়। এসময় মাদক চোরকারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।
দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় মাদক পাচারকারী চক্রের এক সদস্যের মৃত্যু হয়। নিহতের নাম আব্দুর রহমান। সে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দার বলে জানাগেছে। এসময় অন্যরা পিছু হটে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি ৮০ হাজার ইয়াবা এবং একটি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবি ৩৪ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জয়নিউজকে বলেন, সীমান্ত দিয়ে মাদক চোরাচালানের খবর পেয়ে অভিযানে যান বিজিবি। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে চোরাকারবারীচক্র বিজিবিকে গুলিবর্ষণ করেছে। একইসঙ্গে বিজিবিও গুলি চালালে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে একজনের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সীমান্ত সুরক্ষা এবং চোরাচালান বন্ধে বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জয়নিউজকে বলেন, বাইশফাঁড়ি সীমান্তে চোরাকারবারীর সঙ্গে বিজিবির গোলাগুলিতে নিহত মাদক পাচারকারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো মামলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্তে এবছর আরও দু’দফায় বিজিবি-মাদক চোরাকারবারীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আগের ঘটনায় তিনজন চোরাকারবারী নিহত এবং কয়েকজন বিজিবি সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়।