হাটহাজারীতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি দিয়েই শুরু। ২৭ এপ্রিল তিনি একজনই ছিলেন এই উপজেলার করোনা আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি। একজন দিয়ে শুরু হওয়া এই আক্রান্তের সংখ্যা এক মাসের ব্যবধানে ১২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
ইতোমধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদকর্মী, পুলিশ, ব্যাংক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ ১২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৩০ মে সর্বোচ্চ ৩৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার (১ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু সৈয়দ মো. ইমতিয়াজ হোসাইন।
তিনি জয়নিউজকে বলেন, ২৬ মে পর্যন্ত দু-এক দিন পরপর এক-দুইজন করেই বাড়ছিল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু ২৭ মে একদিনেই আক্রান্ত হন আটজন। পরদিন আক্রান্ত সংখ্যা এক লাফেই উঠে যায় আশঙ্কাজনক অবস্থানে। ২৮ মে একদিনেই আক্রান্ত হন ২৬ জন। এরপর দুই দিনের ব্যবধানে ৩০ মে এই উপজেলায় একদিনে আক্রান্ত হন ৩৪ জন। যা চট্টগ্রামের কোনো উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ। এছাড়া তিন নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. তাহনিয়া সাবেরা চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সর্বমোট ৫৪৭ জনের নমুনা বিআইটিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৫১৮ জনের নমুনার ফলাফল পেয়েছি। তৎমধ্যে ১২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা শতকরা হার প্রায় ২২.৩৯ শতাংশ। শনাক্তদের মধ্যে হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা রয়েছে ১১৬জন। এছাড়া সিটি করপোরেশন ও অন্য উপজেলার রয়েছে নয়জন। এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১০জন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জয়নিউজকে বলেন, শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ সচেতনতা, সামাজিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে প্রশাসনের সঙ্গে রীতিমতো লুকোচুরি খেলেছেন। অনেকে নানা অজুহাতে নিয়ম মানেনি। ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে দোকানের সামনে দরজা বন্ধ রেখে পেছনের দরজা দিয়ে বেচাকেনা করেছেন। আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসার পরে দেখেছি তারা আবারও দোকান খুলেছেন।