চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে করোনা ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বন্দরের অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনায় মৃত্যুর পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বন্দর হাসপাতালের নতুন ভবনে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
সেখানে ৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হবে। এছাড়া আট থেকে দশটি আইসিইউ শয্যা, সিসিইউ ইউনিট ও এইচডিইউ ইউনিট সুবিধাও থাকছে সেখানে। আগামী সপ্তাহে আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ দিনের মধ্যে আইসিইউ শয্যা চালু করার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার পরামর্শ নিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান। সোমবার (১ জুন) ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াকে হাসপাতাল ভবন দেখানো হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, আগামী সপ্তাহেই আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আইসিইউ বেড চালু করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লোকবল সংকট রয়েছে, সেটা দ্রুত পূরণ করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বন্দর হাসপাতালকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে দাবি জানিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার নিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বন্দর হাসপাতালের সেবার আওতায় রয়েছে। করোনা ওয়ার্ড চালু হলে এই ৪০ হাজার মানুষকে সেবা দেওয়া হবে। এর বাইরে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সেবা দেয়া যায় কি-না, সেটা নিয়েও কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছে।
প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পিএসহ ৫ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন কর্মী।