চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ের হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো সর্বসাধারণের সেবা দিতে আগ্রহী হচ্ছে না জানিয়ে মানবাধিকার কমিশনের সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু বলছেন, সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও কয়েকদিনের বাস্তবতায় এটাই প্রতিয়মান হয়।
করোনাভাইরাসের দোহাই দিয়ে সাধারণ রোগীদেরও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ হাসপাতাল ও হাসপাতাল করতে গিয়ে অনেক রোগী মাঝপথেই মারা যাচ্ছে। এর চেয়ে অসহায় অবস্থা আর কী হতে পারে?
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২ জুন) বিকেলে নগরের দামপাড়া চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে বেসরকারি চিকিৎসা খাত কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
আমার জানাতে চাই, একটি জীবনও যদি অবহেলায়, অব্যবস্থাপনায় হারিয়ে যায় তার দায় সংশ্লিষ্ট কেউই এড়ানোর সুযোগ নেই। তাই এখনো সময় আছে, হাসপাতাল মালিকদের মানবিক হতে হবে। সবারর দাবি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকেও করোনা চিকিৎসা দিতেই হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, আহসান খুররম, বৃহত্তর অঞ্চলের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, সাজ্জাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আবু আনিস খান, ইমদাদ চৌধুরী, মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া, ব্যাংকার জাহাঙ্গীর আলম, মিজানুর রহমান, জাহিদ তানছির, লায়ন হাফিজুর রহমান, কাজী সালাহউদ্দিন, ইফতিয়াজ সাঈদ সর্দার, রাসেল সালাহউদ্দিন, মোহাম্মদ রফিক, শাহরিয়ার নিজাম, ইকবাল আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা সর্বসাধারণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়ায় সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক সাধুবাদ এবং যে সব হাসপাতাল, ডাক্তার, নার্স স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ করোনা যুদ্ধে আত্মনিয়োগ করেছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।